শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার


ছবি

শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি (কফযুক্ত বা শুকনো), দ্রুত ও কষ্টকর শ্বাস নেওয়া, বুকে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা এবং ক্লান্তি বা অস্থিরতা।

প্রতিকারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী

প্রতিকারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক (ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে), প্রচুর তরল পান করানো, পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া, এবং জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল/আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা প্রয়োজন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কোনো ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। 

 লক্ষণ  শ্বাসকষ্টঃ দ্রুত শ্বাস নেওয়া

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়াবা শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া । জ্বর: উচ্চ জ্বর, সাথে ঠান্ডা লাগা বা ঘাম। কাশি: হলুদ, সবুজ বা রক্ত মিশ্রিত কফযুক্ত কাশি, অথবা শুকনো কাশি। ক্লান্তি ও অস্থিরতা: শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত বা খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। বুক ও পেট ব্যথা: বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশির সময় ব্যথা হতে পারে। ক্ষুধামন্দা: খেতে অনীহা, যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। প্রতিকার ও করণীয়  চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। 

এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা হতে পারে, যার চিকিৎসা ভিন্ন

ওষুধ: চিকিৎসক ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। জ্বর নিয়ন্ত্রণ: জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন দেওয়া যেতে পারে, তবে অ্যাসপিরিন দেওয়া যাবে না।

তরল ও বিশ্রামঃপর্যাপ্ত জল, স্যুপ, বা ফলের রস খাওয়ান

পর্যাপ্ত জল, স্যুপ, বা ফলের রস খাওয়ান এবং শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। নাক পরিষ্কার নাক বন্ধ থাকলে লবণ পানির ড্রপ ব্যবহার করুন। হিউমিডিফায়ার ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে সাহায্য করতে পারে। যা করবেন না ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কাশির সিরাপ বা ঠান্ডা লাগার ওষুধ দেবেন না, বিশেষ করে ৬ বছরের কম বয়সীদের। 

কিছু নিউমোনিয়ার টিকা (যেমন: নিউমোকক্কাল) দেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি: ঘন ঘন হাত ধোওয়া, বিশেষ করে শিশুর সংস্পর্শে আসার আগে। ধূমপান থেকে দূরে রাখা: শিশুদের ধূমপানের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন। 

শিশুর নিউমোনিয়া লক্ষণ প্রতিকার ও প্রতিরোধ

শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া একটি গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে হতে পারে। সময়মতো শনাক্ত ও সঠিক চিকিৎসা না হলে শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই নিউমোনিয়ার লক্ষণ, করণীয় ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।


১. শ্বাসকষ্ট

  • দ্রুত শ্বাস নেওয়া

  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

  • শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের খাঁচা ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া 

২. জ্বর

  • মাঝারি থেকে উচ্চ জ্বর

  • সঙ্গে ঠান্ডা লাগা বা অতিরিক্ত ঘাম

৩. কাশি

  • কফযুক্ত কাশি (হলুদ, সবুজ বা কখনো রক্ত মিশ্রিত)

  • অথবা শুকনো কাশি

৪. ক্লান্তি ও অস্থিরতা

  • শিশুর স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্ত থাকা

  • খিটখিটে বা অস্থির আচরণ করা

৫. বুক ও পেট ব্যথা

  • শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশির সময় ব্যথা অনুভব করা

৬. ক্ষুধামন্দা

  • খেতে অনীহা

  • এর ফলে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) হওয়ার ঝুঁকি

দ্রুত শ্বাস নেওয়া

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের খাঁচা ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া


 প্রতিকার ও করণীয় 

নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করুন

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

দ্রুত একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে শিশুকে নিয়ে যান                                                                              নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকজনিত কিনা তা নির্ণয় জরুরি

ওষুধ সেবন

ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন                                           নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ওষুধ অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে

জ্বর নিয়ন্ত্রণ

জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে                                                         অ্যাসপিরিন কখনোই শিশুদের দেবেন না

তরল ও বিশ্রাম

পর্যাপ্ত পানি, স্যুপ বা ফলের রস খাওয়ান                                                                                                       শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন

নাক পরিষ্কার রাখা

নাক বন্ধ থাকলে লবণ পানির ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন

হিউমিডিফায়ার ব্যবহার                                                                                                                                  ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার উপকারী হতে পারে

যা করবেন না                                                                                                                                                ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কাশির সিরাপ বা ঠান্ডার ওষুধ দেবেন না                                                                বিশেষ করে ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন

নিউমোনিয়া প্রতিরোধের উপায়                                                                                                                    নিউমোনিয়া প্রতিরোধে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ

টিকা গ্রহণ                                                                                                                                                      নিউমোকক্কালসহ প্রয়োজনীয় সব টিকা সময়মতো দিন 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা                                                                                                                                        ঘন ঘন হাত ধোওয়া                                                                                                                                      শিশুর সংস্পর্শে আসার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা   

ধূমপান থেকে দূরে রাখা                                                                                                                                  শিশুকে ধূমপানের ধোঁয়া থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখুন   

উপসংহার

শিশুর নিউমোনিয়া একটি গুরুতর কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগ। লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই শিশুর সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।                                                             

                                                                                                                    





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md.Shohidul Alam
Md. Shohidul Alam
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও অর্ডিনারি আইটির সিনিয়র সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।